
উপজেলার নোয়াপাড়া আলমপুর বিলপাড় দশঘর কৃষ্ণনগর আনন্দনগর বাগান লক্ষ্মীপুর গবিন্দনগর ও মোহনপুর এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় মৌলভীবাজারের পাঁচ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ ত্রাণ সংকটে পড়েছেন। সাহায্য সরবরাহকারী একটি নৌকায় অস্থায়ী ভেলা বা ছোট স্কিপ চড়ে তার নিচতলা ঢেকে যায়।
সিলেট সুনামগঞ্জ অঞ্চলসহ বন্যার্তদের পাশে হাজারো মানুষ ২০২২
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে সিলেট ২৩ জুন পর্যন্ত ভারী বর্ষণ হতে পারে যার ফলে ভয়াবহ বন্যা হতে পারে। মৌলভীবাজারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন বৃষ্টি না কমলে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। মনু ও ধলাই নদীতে পানি নেমে যাওয়ায় মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও হাজার হাজার মানুষ।
সিলেট বন্যা 2022
সিলেটে ভারতের সীমান্তের কাছে দেশের চরম উত্তর পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল গুলির মধ্যে একটি গ্রামবাসী একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ঢেকে যাওয়া। কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও চৌধুরী মোহাম্মদ গোলাম রাব্বি জানান শরীফপুর ইউনিয়ন এলাকার প্রায় ২ হাজার ৩০০ মানুষের জন্য বন্যায় ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে। উপজেলার প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পূর্ব পশ্চিম ও মধ্য জাফলং আলীর গাঁও রুস্তমপুর তোয়াকুল লেঙ্গুরা এলাকার মানুষ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও তাহমিলুর রহমান জানান দ্বিতীয় দফা বন্যায় বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ২৩০০ জনের মধ্যে ২৩ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে এবং ২৯ টন চাল বিতরণের অপেক্ষায় রয়েছে।
বিশেষ করে যারা বর্তমানে বেড়িবাঁধে বসবাস করছেন তারা গত সাত দিন ধরে শুধু ঢেঁকি চাল ও নিরাপদ পানীয় জলে বেঁচে আছেন। এদিকে বন্যার পানিতে কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ও পশ্চিম চতুল ও নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সীমান্ত উপজেলা জকিগঞ্জ ও শত শত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
ছাতকে সাম্প্রতিক সময়ে কয়েক শতাধিক বাড়িঘর দুই শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অন্তত শতাধিক মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার এবং ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ২১৩ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
শরিফপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব আলী জানান ওই এলাকায় মোট সাড়ে চার হাজার বন্যাকবলিত মানুষ রয়েছে প্রশাসন ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে এবং জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায়। সুরমা নদীর তীরবর্তী নিচু গ্রামটি বন্যার প্রবণতা থাকলেও চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমের শুরুতে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হওয়ায় গ্রামবাসী মেহেদী হাসান পারভেজ বলেন তিনি এত খারাপ কিছু দেখেননি।
কিছু ক্ষেত্রে এমনকি ভবনগুলোর দ্বিতীয়তলাটিও প্লাবিত হয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী বলেছিলেন একটি ছোট নৌকায় বসে তিনি চাল টিনজাত পণ্য এবং অন্যান্য প্রধান জিনিসপত্রের প্যাকেজ নেওয়ার জন্য তার পালার অপেক্ষা করেছিলেন।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, বন্যার্তদের জন্য ছাতক উপজেলায় ১০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ এখন জরুরি ত্রাণ শিবিরে বসবাস করছে।
জল দিয়ে সিলিং অর্ধেক পথ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়ির ছাদ থেকে স্ফীত নৌকা দিয়ে সরিয়ে নিয়েছে তারা আশঙ্কা করছেন এখনও কিছু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ইতোমধ্যে দেড় শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে প্রশাসন। ব্রহ্মপুত্র নদী ভারত থেকে বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার পথে উত্তর বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়েছে এবং বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র মঙ্গলবার আগামী পাঁচ দিনের জন্য বিপজ্জনকভাবে উচ্চ জলের বিষয়ে সতর্ক করেছে।
Leave a Reply